

Table of Contents
Question for Honours Students:
What is meant by community? What are its characteristics? Explain its basis following MacIver and Page. Is monastery a community? (Marks- 16)
OR
Explain the nature and characteristics of community. (Marks- 8)
OR
What is the basis of a community. Explain after MacIver and Page. (Marks- 8)
Question for Pass Students:
সম্প্রদায় বলতে কি বোঝ ? সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো। ম্যাকাইভার ও পেজকে অনুসরন করে সম্প্রদায়ের ভিত্তিগুলি ব্যাখ্যা করো। মঠকে কি সম্প্রদায় বলা যায়? (মান-১৬)
OR
সম্প্রদায়ের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো। (মান-৮)
OR
ম্যাকাইভার ও পেজকে অনুসরন করে সম্প্রদায়ের ভিত্তিগুলি ব্যাখ্যা করো। (মান-৮)
Answer-
সম্প্রদায় হল একটি মানবগোষ্ঠী। যখন কোনো জনসমষ্টি ধর্মভিত্তিক, ভাষাভিত্তিক, বা পেশাবৃত্তিক হয় এবং সেই জনসমষ্টি তাদের সংঘবদ্ধ জীবনের সার্বিক প্রয়োজন সাধনের উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে তখন ঐ বিশেষ জনসমষ্টিকে বলা হয় সম্প্রদায়।
সম্প্রদায়ের সংজ্ঞা
MacIver and Page-এর মতে- “Whenever the members of any group, small or large, live together in such a way that they share, not this or that particular interest, but the basic conditions of a common life, we call that group a community” অর্থাৎ যখন কোন ছোট বা বড় গোষ্ঠীর অন্তর্গত সভ্যরা এমনভাবে বসবাস করে যে তারা কোন বিশেষ স্বার্থের অংশীদার না হয়ে সাধারণ জীবনের প্রাথমিক প্রয়োজনীয় বিষয়ে অংশগ্রহণ করে তখন সেই গোষ্ঠীকে আমরা সম্প্রদায় বলি। যেমন- গ্রাম্য সম্প্রদায়।
সম্প্রদায়ের প্রকৃতি
ম্যাকাইভার ও পেজ-এর মতে, উদ্দেশ্য ও স্বার্থের অভিন্নতাই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংগতি রক্ষা করে। সম্প্রদায়ের মধ্যে শ্রেণীবিভাগ থাকলেও একই জাতীয় আচরণ, রীতি-নীতি, অনুষ্ঠান, ধর্ম এবং একই সাধারণ জীবন যাত্রার রীতি সম্প্রদায়কে স্থায়ী ও উন্নত করে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে আমরা যে পার্থক্য লক্ষ্য করি তা জাতিগত নয়, মাত্রাগত।
সম্প্রদায় সমাজ থেকে পৃথক কেননা সমাজ হলো মানুষের ইচ্ছাকৃত যে কোন পারস্পারিক সম্পর্ক। আর সম্প্রদায় হল নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী জনসমষ্টি, যারা স্বাজাত্য বোধ দ্বারা যুক্ত।
সম্প্রদায় সংঘ থেকে পৃথক। কোন সংঘের সভ্য হওয়ার তাৎপর্য সীমিত। সংঘের বাইরে অসংখ্য প্রয়োজন থাকে যা ব্যক্তিরা সংঘের মধ্যে পেতে পারে না। আবার এদের মধ্যে কোন সামাজিক সম্পর্কও থাকে না। কিন্তু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের স্বাজাত্য বোধ থাকে এবং ব্যক্তিরা সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকেই নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণে সমর্থ হয়। সুতরাং সম্প্রদায় হলো স্বয়ং সম্পূর্ণ (self-contained) এবং সংঘ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত একটি সংগঠন মাত্র।
সম্প্রদায় হচ্ছে “একটি স্থায়ী সামাজিক গোষ্ঠী যা সদস্যদের সমগ্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে”। তাই MacIver মন্তব্য করেছেন- “One’s life may be lived wholly within life” অর্থাৎ “মানুষের সমগ্র জীবনটাই সম্প্রদায়ের মধ্যে অতিবাহিত হতে পারে”। যা অন্য কোন জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। (Society; MacIver and Page)
সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য
MacIver and Page সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে গিয়ে ‘Society’ গ্রন্থে বলেছেন- “The basic criterion of community is that all of one’s social relationship may be found within it.”
সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য গুলি হল এই যে-
i. সম্প্রদায়ের মধ্যে মানুষের যাবতীয় সামাজিক সম্পর্কের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
ii. ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হল সম্প্রদায়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই সম্পর্ক সাধারণত প্রত্যক্ষ পরিচয়ভিত্তিক।
iii. সম্প্রদায় তার সদস্যদের মৌল/প্রাথমিক প্রয়োজনগুলি সাধন করে। যেমন- শিশু তার পরিবারের মধ্যে,মানুষ তার গ্রাম বা শহরের মধ্যে থেকে সব রকম প্রয়োজন মেটাতে পারে।
iv. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড হল সম্প্রদায়ের অপর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। MacIver and Page-এর মতে- প্রত্যেকটি সম্প্রদায় একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বাস করে। এমনকি ভ্রাম্যমান যাযাবর সম্প্রদায়ের সভ্যরাও একই অঞ্চলে দলবদ্ধ ভাবে প্রতি সময়ে বিশ্বের একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাস করে।
একই ভূখণ্ডে পাশাপাশি বসবাস করার ফলে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত সভ্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্বন্ধ বন্ধনের উৎপত্তি হয়, যা সম্প্রদায়কে দৃঢ় ও সুসংহত করে।
v. স্বার্থ ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারতা অনুসারে সম্প্রদায়ের ব্যাপকতা কম অথবা বেশি হয়। এটিও সম্প্রদায়ের অপর একটি বৈশিষ্ট্য। স্বার্থ ক্ষুদ্র হলে বৃহৎ নগরে বসবাস করলেও ব্যক্তি ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়।
সম্প্রদায়ের ভিত্তি
MacIver and Page-এর মতে সম্প্রদায়ের ভিত্তি হলো দুটি। যথা-
1. স্থান বা অঞ্চল (Locality) এবং
2. স্বাজাত্যবোধ বা সম্প্রদায়গত মনোভাব (Community Sentiment) ।
1. আঞ্চলিক ভিত্তিক
যে কোনো একটি সম্প্রদায় একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাস করে এবং সেই অঞ্চল তাদের দৈহিক ও মানসিক প্রয়োজনগুলি মেটাতে সক্ষম । কোন প্রবাসী জনগোষ্ঠী যদি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত ভাবে বসবাস করে, তাহলে তারা একই জাতীয় অন্তর্ভুক্ত হলেও আঞ্চলিক ভিত্তির অভাবের জন্য তাদের সম্প্রদায় বলা যাবে না।
সুতরাং স্থান ও আঞ্চলিক ভিত্তি সম্প্রদায়ের একটি অপরিহার্য উপাদান।
2. সম্প্রদায়গত মনোভাব বা স্বাজাত্যবোধ
একই প্রকার জীবন ধারা সম্পর্কে বোধ বা চেতনা হচ্ছে ‘সম্প্রদায়গত মনোভাব’। একই স্থানে বসবাস করার ফলে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একাত্মবোধ গড়ে ওঠে, যার ফলে তারা অন্তঃব্যক্তির সম্পর্কে সচেতন হয়। এই সচেতনতার ফলে যে মানসিকতা কথা গড়ে ওঠে, তাকে বলা হয় স্বাজাত্যবোধ।
ম্যাকাইভার ও পেজের মতে, এই স্বাজাত্যবোধ তিনটি পরস্পর সংযুক্ত মনোভাবের সংমিশ্রণে গঠিত। এগুলি হল-
ক) আমরা মনোভাব (We feeling) বা আমরা বোধ।
খ) নির্দিষ্ট কর্ম করার মনোভাব (Role feeling) বা ভূমিকা বোধ।
গ) নির্ভরতার মনোভাব (Dependency feeling) নির্ভরতা বোধ।

ক) আমরা মনোভাব (We feeling) বা আমরা বোধ
আমরা বোধ হল একপ্রকার সামাজিক অনুভূতি, যার ফলে সদস্যদের মধ্যে ‘সকলেই আমরা আপনজন’- এমন বোধ জাগ্রত হয়। সদস্যদের মধ্যে এইরূপ বোধ জাগ্রত হলে তারা ব্যক্তিস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সাধারণ স্বার্থের কথা ভাবতে সক্ষম হয়।
খ) নির্দিষ্ট কর্ম করার মনোভাব (Role feeling) বা ভূমিকা বোধ
ভূমিকা বোধ হল সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি ব্যক্তির নির্দিষ্ট দায়-দায়িত্ব বোধ ও কর্তব্য বোধ। যা প্রত্যেককেই পালন করতে হয়। যেমন- পিতা-মাতা, ছাত্র-শিক্ষক, মজুত-কামার প্রভৃতি সকল প্রকার মানুষেই নির্দিষ্ঠ ভূমিকা নির্দিষ্ট থাকে এবং এই ভূমিকা বা দায়িত্ব বোধ আছে বলেই ব্যক্তির সাথে সাথে সম্প্রদায়ক উপকৃত হয়।


গ) নির্ভরতার মনোভাব (Dependency feeling) নির্ভরতা বোধ
নির্ভরতাবোধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে নিরাপত্তা বোধের সৃষ্টি করে। সম্প্রদায়ের প্রত্যেক সদস্যই নিজের অস্তিত্বের জন্য এবং তার দৈহিক ও মানসিক প্রয়োজনগুলি মেটানোর জন্য সম্প্রদায়ের উপর নির্ভরশীল।
মঠকে কি সম্প্রদায় বলা যায় ?
মঠের মধ্যে সম্প্রদায়ের দুটি ভিত্তি অর্থাৎ আঞ্চলিকতা এবং সম্প্রদায়গত মনোভাব বা স্বাজাত্যবোধ উপস্থিত থাকে। কেননা মঠ বাসীরা একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে ভিত্তি করে নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাস করে। তাই তাদের স্বার্থের অভিন্নতা, আমরা বোধ আমাদের কাছে স্পষ্ট। কাজেই মঠ হচ্ছে সম্প্রদায়। ম্যাকাইভার ও পেজ উক্ত মত সমর্থন করে বলেছেন-মঠের সভ্যরা তাদের সমগ্র জীবন মঠেই অতিবাহিত করতে পারে। তাই মঠকে সম্প্রদায় রূপে গণ্য করায় যুক্তিযুক্ত।

মন্তব্য
কারো কারো মতে মঠকে সম্প্রদায় না বলে সংঘ বলাই শ্রেয়। কারণ মঠ সম্প্রদায়ের মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবন-যাপনের জন্য যা প্রয়োজন তা মঠ তৃপ্ত করতে পারে না। সুতরাং মঠ একটি সংঘ।
The End